Menu

কোমর ও অন্যান্য ব্যথা

বিভিন্ন ব্যথা ও তার আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিশদে জানুন। ফোন করুন +৯১৯৩৩৯৬৫৭৮৫৭

আপনার সমস্যাও কি এদের মতো?

কয়েকটি কেস হিস্ট্রি

  • বিমল মালাকারের বয়স পঞ্চাশ। উনি দীঘার সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে কাঁধে সামান্য চোট পান। সামান্য ব্যথার ওষুধ খেয়ে তখনকার মতো সমস্যার সমাধান হয়ে গেছিল, বিমলবাবুর অন্তত তেমনই মনে হয়েছিল। কিন্তু দু’মাস পরেই শুরু হয় কাঁধ ও হাতে সুতীব্র যন্ত্রণা। কোনও ওষুধেই যখন কাজ হচ্ছে না, রাতের পর রাত ঘুম নেই, চূড়ান্ত হতাশায় উনি আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কিন্তু স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যাওয়ায়, সে যাত্রায় রক্ষা পান। এর পর উনি আসেন একটি পেইন ক্লিনিকে। কয়েকটি ইঞ্জেকশন, ব্যাস উনি পুরো সুস্থ হয়ে ওঠেন।
  • এ রোগের নাম কমপ্লেক্স রিজিওনাল পেইন সিন্ড্রোম বা সংক্ষেপে সি আর পি এস। ওনার চিকিৎসা করা হয়েছিলো স্টিলেট গ্যাংলিওন ব্লক বা ইঞ্জেক্সন করে। 

  • সঙ্গীতা হাজরার বয়স পঁয়ত্রিশ। প্রায় চার বছর উনি মাথার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। মাথার পিছন থেকে যন্ত্রণা সামনের দিকে ছড়িয়ে পড়ত। বমি-বমি ভাব, আল-আওয়াজ একদম সহ্য করতে পারতেন না। প্রথম দিকে মাসে একবার-দু’বার যন্ত্রণা হত, কিন্তু পরের দিকে প্রায় রোজই। ব্যথার ওষুধ প্রথম দিকে কাজ দিলেও, পরে তেমন কাজ হত না। উপরন্ত্ত, ব্যথার ওষুধ খেলেই পেটে যন্ত্রণা। মাইগ্রেনের প্রতিষেধক ওষুধ খেয়েছেন অনেক কিন্তু তেমন কিছু কাজ হয়নি। ধীরে ধীরে দীর্ঘদিন যন্ত্রণা ভোগের কারণে অবসাদগ্রস্ত, খিটখিটে, অল্পে মেজাজ হারিয়ে ফেলা এক মহিলায় পরিণত হন।
  • অবশেষে ধরা পড়ল অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া। অক্সিপেটাল নার্ভ ব্লক করে আজ উনি পুরোপুরি সুস্থ। 


  • সুমিতা বিশ্বাসের বয়স ঊনত্রিশ। গত চার বছর উনি ক্রনিক প্যাংক্রিয়াটাইটিস-এ ভুগছেন। নানা চিকিৎসায় ওঁর অন্য সমস্ত সমস্যা প্রশমিত হলেও, ব্যথার কোনও উপশম হয়নি। মাঝে মাঝে ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করলে ব্যথার ওষুধ খান। কিছুটা কাজ হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা চলার পর আবার সেই অবস্থা-তখন আবার ব্যথার ওষুধ। এভাবে চলতে চলতে উনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। কোনও কাজকর্ম ভাল লাগত না। টিভি দেখতে, সিনেমা দেখতে ভাল লাগত আগে কিন্তু এখন আর ভাল লাগে না। মাঝে মাঝে বেঁচে থাকতেই ইচ্ছা করত না।

  • অবশেষে ইন্টারভেনশনাল পেইন  ম্যানেজমেন্ট ওঁকে পুরোপুরি ব্যথামুক্ত করে তুলল। ধীরে ধীরে অবসাদও কেটে গেল। বেঁচে থাকার আনন্দ আবার অনুভব করছেন উনি। 


  • সুদেষ্ণা বসাকের বয়স পঞ্চান্ন। প্রায় দশ বছর উনি হাঁটুর যন্ত্রণায় ভুগছেন। প্রথম দিকে অনেকক্ষণ দাঁড়ালে বা হাঁটলে ব্যথা হত, এমনকি সুয়ে-বসে থাকলেও। মাঝে মাঝে হাঁটু ফুলে যেত। ডাক্তারবাবুরা বললেন অস্টিও আর্থারাইটিস। হাঁটু-জয়েন্ট বদলানোর পরামর্শ দিয়ে দিলেন, কিন্ত্ত অর্থনৈতিক কারণে ওঁর পক্ষে সেটা সম্ভব হল না।

  • অবশেষে হাঁটুতে পি আর পি প্রোলোথেরাপি ইঞ্জেকশন (স্টেরয়েড নয়) ওঁকে ব্যথামুক্ত করে তোলে।


  • বিশ্বতোষ পাঁজার বয়স বাহান্ন। স্লিপ ডিস্কের সমস্যায় ভুগছিলেন। দক্ষিণ ভারতের এক বিখ্যাত হাসপাতালে উনি মেরুদণ্ডের অপারেশন করিয়ে আসেন। কিছুদিন (প্রায় এক বছর) উনি বেশ ভালই ছিলেন। কিন্ত্ত তার পর শুরু হল সমস্যা, দুই পায়ে অসম্ভব জ্বালা। মাঝে মাঝে পা ফুলে যেত। অবশেষে আবার এম.আর.আই. এবং সেই হাসপাতালেই আবার অপারেশন। কিন্ত্ত কষ্ট কমলো না। বিভিন্ন ওষুধ খেয়েও কোনও উপকার নেই, রাতে ঘুম পুরো উধাও।

  • এ রোগের নাম ফেইলড ব্যাক সার্জারি সিন্ড্রোম​। অবশেষে মেরুদণ্ডের মধ্যে ‘স্পাইনাল কর্ড স্টিমুলেটর’ নামে পেসমেকারের মতো এক যন্ত্র বসিয়ে সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি। এখন উনি পুরোপুরি সুস্থ।


  • শুভঙ্কর মাঝির বয়স সাঁইত্রিশ। প্রায় মাস ছয়েক উনি স্লিপড্ ডিস্কের সমস্যায় ভুগছিলেন। ভীষণ যন্ত্রণা কোমর থেকে বাঁ পায়ের দিকে ছড়িয়ে পরত। মাঝে মাঝে ঝিন ঝিন করত, পা অবশ লাগত। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপিতে তেমন কাজ হয় নি। অবশেষে এম.আর.আই. করে জানা গেল উনি L5-S1 স্লিপড্ ডিস্কে ভুগছেন। ওঁকে অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হলে, বিভিন্ন ঝুঁকির কথা জেনে উনি অপারেশন করাতে রাজি হননি।

  • অবশেষে ওজোন নিউক্লিওলিসিস করিয়ে, (কাটা-ছেঁড়ার ব্যাপার নয়) উনি এখন পুরোপুরি সুস্থ।

 

  • সমিরা খাতুনের বাড়ি বাংলাদেশে, বয়স একচল্লিশ। ওঁর সমস্ত পিঠ জুড়ে ব্যথা, সঙ্গে হাত-পা ঝিনঝিন, অবশ লাগা, কখনও জ্বালা করা ইত্যাদি উপসর্গও ছিল। রাত্রে ঘুম হত না। প্রায় সারা রাত যন্ত্রণায় ছটফট করতেন। দুই হাতের কনুই, হাঁটুতেও ব্যথা ছিল। প্রায় ছয়-সাত বছর ও দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে কোনও সুরাহা হয় নি বলে উনি এসে পৌঁছান কলকাতায়। ওঁর ডায়াগনোসিস হয় ফাইব্রোমায়ালজিয়া পিঠের নানা জায়গায় ট্রিগার পয়েন্ট ইঞ্জেকশন দিয়ে ও সঙ্গে কিছু ওষুধ খেয়ে উনি দু’সপ্তাহে প্রায় ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে গেলেন।

 

  • জাহানারা বেগমের বয়স ছত্রিশ। তিন বছর আগে ওঁর গলব্লাডার অপারেশন হয়েছিল। অপারেশনের পর কিছু দিন ভাল ছিলেন। কিন্তু কয়েকমাস পরে শুরু হল অপারেশনের কাটা জায়গার চারপাশে জ্বালা। ধীরে ধীরে জ্বালার জায়গাটা বাড়তে আরম্ভ করল। জ্বালা যন্ত্রণা ফিঠ, বাঁ-দিকের পেট, তলপেট ইত্যাদি জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়ে। কোনও ব্যথার ওষুধেই কিছু কাজ হয়নি। নানা পরীক্ষাতে দেখা গেল সব কিছু ঠিক আছে। তবু এত তীব্র জ্বালা! ওঁকে মানসিক চিকিৎসার জন্য মনোবিদের কাছেও পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত উনি সুস্থ হলেন ইন্টারভেনশনাল পেন ম্যানেজমেন্ট-এর দ্বারস্থ হয়ে।

 

  • বিনীতা আগরওয়ালের বয়স আটত্রিশ। ওঁর বাঁদিকের কানের গোড়া থেকে চোয়ালের দিকে, মাথা আর কপালের দিকে তীব্র যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ত। কখনও চিবিয়ে খেতে গেলে ব্যথা শুরু হত, কখনও চোয়ালের নানা জায়গায় হাত দিলে যন্ত্রণা টের পেতেন। শুরুর দিকে খাওয়ার ওষুধে কিছুটা কাজ হয়েছিল। কিন্তু পরের দিকে নয়। অবশেষে ট্রাইজেমিনাল নার্ভ ব্লক এবং সুস্থ হলেন। 

 

  • সুশান্ত মল্লিক। বয়স বত্রিশ। গত চার বছর উনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। এ ব্যথা পায়ের দিকে ছড়ায় না। কখন যে হয়, কীভাবে ব্যথা শুরু হয় উনি প্রায় বুঝতেই পারেন না। যখন ব্যথা খুব তীব্র আকার ধারণ করে, তখন হাঁটুতে বসতে-শুতে সব কিছুতেই ব্যথা হয়। এমনকি হাঁচি-কাশিতেও ভীষণ কষ্ট হত। বিভিন্ন ধরনের ওষুধে তেমন কোনও ফল পাননি। অবশেষে দেখা গেল ফেসেট জয়েন্ট আর্থপ্যাথি, ফেসেট জয়েন্ট ব্লক করে ওঁর ব্যথা কমে যায়।

 

  • বীণা ভাদুড়ির বয়স ছাপান্ন, উনি জরায়ুর ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অপারেশন করানো যায়নি। কারণ ক্যান্সার তখন অ্যাডভান্সড স্টেজে। রেডিওথেরাপি/কেমোথেরাপি হয়েছিল, কিন্তু ওর সমস্যা ছিল তলপেট আর কোমরের ব্যথা। ব্যথা এতই অসহ্য যে, বিভিন্ন ওষুধ এমনকি মরফিন জাতীয় ওষুধেও কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে Superior Hypogastric plexus block (এক ধরনের ইন্টারভেনশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট) ওকে ব্যথা থেকে দীর্ঘদিন মুক্ত রাখে।
  • বিমলেন্দু বসাকের হয়েছিল Prostate gland-এ ক্যান্সার। ওঁরও একই ধরনের ব্যথা ছিল। উনিও ব্যথামুক্ত হন এই ধরনের নার্ভ ব্লকের সাহায্যে। 

 

  • উৎপল সমাদ্দারের বয়স পঁয়ষট্টি। উনি দীর্ঘদিন ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছিলেন। ঘাড়ের ব্যথা কাঁধের দিকে ছড়িয়ে পড়ছিল, মাঝে মাঝে মাথার পেছন দিকেও ব্যথা চলে যাচ্ছিল। ডাক্তারবাবুরা বলেছিলেন Cervical Spondylosis. বিভিন্ন ধরনের চিকিতৎসাতে উনি পুরোপুরি ব্যথামুক্ত হতে পারেননি।

  • অবশেষে Cervical epidural block (এক ধরনের ইন্টারভেনশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট) দিয়ে উনি পুরো ব্যথামুক্ত হয়ে ওঠেন।

 

  • মাধুরী বসুর বয়স প্রায় বত্রিশ। গত দু’বছর ধরে উনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। যত দূর মনে পড়ে উনি কোমরে কখনই তেমন কোনও চোট পাননি। ব্যথাটির কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। কোমর থেকে সেটা বাম পায়ের দিকে নেমে আসে। দাঁড়ালে বা হাঁটাহাঁটি করলে বাম পা ঝিন ঝিন করে এবং কেমন অবশ হয়ে আসতে চায়। শুয়ে থাকলে বরং আরাম লাগে এবং ব্যথার খানিকটা উপশম হয়। তবে যন্ত্রণা বেড়ে গেলে শুয়ে পড়েও সে ব্যথা সামাল দেওয়া যায় না। তখন একটা স্বস্তিদায়ক শোবার ভঙ্গি খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে। সব রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিতৎসকেরা এই সিদ্ধান্তে এলেন যে মাধুরী দেবীর স্লিপড্ ডিস্ক হয়েছে। অপারেশনের প্রয়োজন। কিন্তু জন্মগত হার্টের অসুখ থাকায় মাধুরী দেবীকে অজ্ঞান করে অপারেশন করাটা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকির কাজ। কোনও ডাক্তারই সে ঝুঁকি নিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই তিনি ব্যথায় কষ্ট পেয়েই যাচ্ছিলেন।

  • অবশেষে পারকিউটেনিয়াস ডিসকেটমি করে মাধুরী বসুকে সুস্থ করে তোলা হয়। জেনে রাখুন এই পদ্ধতিতে রোগীকে চেতনাহীন করবার দরকার হয় না। আজ উনি সম্পূর্ণ সুস্থ। 

 

  • গত তিন বছর ধরে কোমরের ব্যথায় ভুগছিলেন বছর ছাব্বিশের সোমা বিশ্বাস। ব্যথাটা কোমরেই স্থির থাকত, পায়ের দিকে ছড়াত না। উনি ব্যাঙ্কের পদস্থ অফিসার। পেশার তাগিদে চেয়ারে বসে ফাইল নিতে গেলেই ব্যথায় লাফিয়ে উঠতে হত। প্রচলিত সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও সমস্যাটার মূল কারণ নির্ধারণ করা যায়নি। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি ও ব্যথা মুক্তির ওষুধ খেয়ে সাময়িক উপকার পেলেও কয়েকদিনের মধ্যেই আবার সেই পুরনো ব্যথা ফিরে আসত।
  • অবশেষে ডায়াগনস্টিক জয়েন্ট ব্লক দিয়ে বোঝা গেল ব্যথাটার উৎস ফ্যাসেট জয়েন্ট। এর পরের ইতিহাস খুবই সংক্ষিপ্ত। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিউরোটমি করতেই ব্যথা থেকে চিরদিনের মতো মুক্তি মিলল। 

 

  • অজ্ঞাত কারণে কোমর ব্যথায় ভুগছিলেন ঢাকুরিয়ার সুভাষ মিত্র। চল্লিশ ছুঁই ছুঁই মিত্রবাবুর ব্যথা গত পাঁচ বছর ধরে চলছে। ব্যথাটি পায়ের দিকে তেমন ছড়ায় না। বসতে গেলে বেড়ে যায় এবং ক্রমেই তীব্র হয়ে ওঠে। ব্যথা হওয়ার কোনও কারণও খুঁজে না পাওয়াতে ব্যথামুক্তির ওষুধ খেয়ে কষ্ট ভুলতে হত। তাতে সাময়িক স্বস্তি মিলত ঠিকই কিন্তু স্থায়ী কোনও সমাধান হত না। 
  • শেষে ডায়াগনস্টিক স্যাক্রো ইলিয়াক জয়েন্ট ব্লক করে ব্যথার কারণ বোঝা গেল এবং রেডিও ফ্রকোয়েন্সি নিউরোটমি করে মিত্রবাবুর পুরো কষ্ট দূর করা হল।

 

  • এম. আর. আই. স্ক্যান করে দেখা গিয়েছিল সুনন্দবাবুর মেরুদণ্ডের অনেকগুলি ডিস্কই ক্ষয়প্রাপ্ত। এই আবিষ্কার সত্ত্বেও সুনন্দ সান্যালের আট বছরের কোমর ব্যথার কোনও উপশম হয়নি, কারণ ঠিক কোন কোন ডিস্ক ব্যথার জন্য নির্দিষ্ট ভাবে দায়ী সেটা চিহ্নিত করা যায়নি।

  • অবশেষে প্রোভোকেটিভ ডিস্কোগ্রাম খুঁদে গোয়েন্দার মতো ব্যথার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করলে ওজোন নিউক্লিয়োলাইসিস এবং ফ্যাসেট জয়েন্ট ব্লক করে বাষট্টি বছরের সুনন্দবাবুকে ব্যথামুক্ত করা হয়। 

 

  • আটত্রিশ বছরের শ্রেয়সী মজুমদার দীর্ঘদিন ঘাড়ের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। নিয়মিত হওয়া ব্যথাটা যেন ক্রমশ জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। প্রচণ্ড ব্যথার সময় ঝিনঝিন করা একটা যন্ত্রণার ভাব ঘাড় ছাড়িয়ে হাতের দিকে নেমে আসত। সেই সময় হাতে একটা অবশ করা অনুভূতি হত। এম. আর. আই. পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি স্লিপড্ ডিস্কে আক্রান্ত। 
  • অবশেষে ওজোন নিউক্লিওলাইসিস করে তার সমস্যা মুক্তি ঘটানো হয়। 

 

  • গত আট মাস ধরে তাপসী পালের জীবনে ঝড় বয়ে গেছে। বাড়ির লোক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনেরা বুঝে উঠতে পাচ্ছিলেন না ঠিক কী করা উচিৎ, কী করলেই বা ওঁকে একটু আরাম দেওয়া যেতে পারে। পিঠ ও কোমরের ব্যথায় একেবারে কাবু হয়ে পড়েছিলেন বাষট্টির তাপসী দেবী। কোনও ওষুধেই কোনও কাজ হচ্ছিল না। ব্যথামুক্তির ওষুধগুলি অবধি হাল ছেড়ে দিয়েছিল।
  • এক্স-রে, সিটি স্ক্যান করে বোঝা গেল কমপ্রেশন ফ্র্যাকচার। বোন সিমেন্ট দিয়ে পারকিউটেনিয়াস ভার্টিব্রোপ্লাস্টি করা হলে উনি ব্যথামুক্ত হয়ে ওঠেন। 

 

  • প্রায় পাঁচ বছর ধরে সমস্যাটা চলছিল। শুতে গেলেই যন্ত্রণা বেড়ে যেত। কোমর থেকে পা পর্যন্ত একটা অসহ্য জ্বালা ছড়িয়ে পড়ত। কোমরের ব্যথায় তিনি রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। পরিস্থিতি এমনও হত যে পরপর বেশ কয়েক রাত বসে বসেই কেটে গেছে। আটান্ন বছরের সুপ্রিয়া সেনের কাছে রাতটাই একটা বিভীষিকা হয়ে উঠেছিল। 
  • অবশেষে মুশকিল আসান করল ডায়াগনস্টিক সিমপ্যাথেটিক নার্ভ ব্লক করে ওঁর যন্ত্রণার আবসান ঘটানো হয়। 

 

  • দেবল নায়েক বসা কাকে বলে তা ভুলতে বসেছিলেন। পাঁচ বা বড় জোর দশ মিনিটের বেশি উনি বসতে পারতেন না। অসহ্য পিঠের ব্যথা দেবল বাবুকে পর্যুদস্ত করে ফেলত। তার পর পিঠের থেকে ব্যথাটা বুকের সামনের দিকে চলে আসত। উঠে দাঁড়ালে বা শুলে সাময়িক ভাবে যন্ত্রণার উপশম হত ঠিকই কিন্তু কাজকর্ম সব শিকেও তুলে রেখে শুয়ে-বসে তো আর দিন কাটানো জায় না। অফিসই বা শুনবে কেন। চিন্তায়, আতঙ্কে দেবল বাবু দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছিলেন। 
  • ডায়াগনস্টিক নার্ভ ব্লক করতেই বোঝা গেল থোরাসিক ফ্যাসেট জয়েন্ট এই ব্যথার উৎস। মেডিয়াল ব্রাঞ্চ ব্লক করে উনি যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেলেন। 

 

  • ডায়াগনস্টিক নার্ভ ব্লক না থাকলে দেবারতি দেবীকে হয়ত অযথাই জীবনভর মাইগ্রেনের ওষুধ খেয়ে যেতে হত। অসহ্য মাথার যন্ত্রণায় দেবারতি ঘোষের তিরিশ বছরের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছিল। নানা ডাক্তার দেখিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। সুঠাম সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেবারতি ধরেই নিয়েছিলেন তাঁর আগামী জীবন বোধহয় এইভাবেই কাটবে।

  • কিন্তু ব্যথার সঠিক উৎপত্তিস্থল যে ঘাড় সেটা নির্ণয় হয়ে যাওয়ার পর সার্ভিক্যাল এপিডুরাল ব্লক করতেই ওঁর মাথার ব্যথা কমে গেল। 

 

  • চৌত্রিশেই জীবনের ওপর আস্থা হারিয়েছিলেন অপূর্ব বিশ্বাস। ওঁকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, কারণ বছর চারেকের কাঁধের ব্যথা অপূর্ব বাবুকে একেবারে কাবু করে ছেড়েছিল। প্রচলিত সমস্ত রকম পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালিয়েও তাঁর ব্যথার সঠিক কারণ বোঝা যাচ্ছিল না। 
  • সার্ভিক্যাল ফ্যাসেট জয়েন্ট ব্লক করতেই ব্যথার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেল। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিউরোটমি করতেই ব্যথা থেকে চিরদিনের মতো মুক্তি মিলল। 

 

  • বছর চার-পাঁচ ধরে ঘাড়, কোমর ও কাঁধের তীব্র যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তেতাল্লিশের গৌরী দাস। তীব্র জ্বালা দুই হাত ও দুই পায়ে ছড়িয়ে পড়ত। রাতে ঘুমোতে পারতেন না। সকালে তীব্র অবসাদ আচ্ছন্ন করে ফেলত। দিনে দিনে গৌরী দেবী মানসিক রোগীতে পরিণত হচ্ছিলেন। ভাল করে পরীক্ষা চৌদ্দটি ট্রিগার পয়েন্ট পাওয়া গেল। সেগুলিতে ইঞ্জেকশন দিতে উনি সুস্থ হয়ে উঠলেন। 

 

  • বাহাত্তর বছরের বিভূতি দে-র প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। বছর দেড়েক আগে অপারেশনও হয়। কিন্তু গত দু’মাস ধরে উনি কোমরের নিচের দিকে যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। অসহ্য জ্বালা তাঁর শেষ জীবনে ক্রমশ অভিশাপের মতো হয়ে উঠছিল। 

  • সুপিরিয়র হাইপোগ্যাসট্রিক নার্ভ ব্লক করে উনি ব্যথামুক্ত হন। 

হতাশ হবেন না.....

দয়া করে হতাশ হবেন না। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।  

বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নিচের বাক্সে আপনার সমস্যার কথা লিখে জানান।