Menu

কোমর ও অন্যান্য ব্যথা

বিভিন্ন ব্যথা ও তার আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিশদে জানুন। ফোন করুন +৯১৯৩৩৯৬৫৭৮৫৭

ঘাড়ের ব্যথা

 

আমরা সবাই কোন না কোন সময় ঘাড়ের ব্যথায় ভুগি। ব্যায়াম বা ফিসিওথেরাপি বেশিরভাগ ঘাড়ের ব্যথার নিরাময় করলেও কখনও কখনও এটা মারাত্মক হতে পারে। 

ঘাড়ের ব্যথার কারন

ঘাড়ের ব্যথার নানা কারণ যেগুলি কোমরের ব্যথার কারনের মতো। প্রধান কারনগুলি হলঃ

  • সারভাইকাল স্লিপ ডিস্ক।
  • মাওফেসিয়াল পেইন। 
  • ফ্যাসেট জয়েন্ট আরথ্রাইটিস।  

ঘাড়ের ব্যথাঃ

ঘাড়ের ব্যথা মানব শরীরের অন্যতম দুর্বলতাজনিত সমস্যা।  বেশীরভাগ সময় মচকে যাওয়া এর মূল কারণ হয়, কিন্তু অনেক সময় ক্রনিক পেইনের অন্য কারণ হয়।

লক্ষনঃ

মাথাব্যথা

হাত ঝিনঝিন করা, অবশ হয়ে যাওয়া বা দুর্বল লাগা।

পেশির ব্যথা

জ্বর

ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া

গলা ব্যথা

কোন জিনিস ধরতে বা তুলতে অসুবিধা হওয়া

লক্ষন গুলির সুত্রপাত নিম্নোক্ত ভাবে বিস্তার করেঃ

সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে

কোন আঘাত পেলে

আঘাত পাওয়ার পরবর্তী সময়

কোন পূর্ব লক্ষন না দিয়ে হঠাৎ

ক্রনিক নেক পেইনের কারণঃ

ব্যথা যদি ৩ মাসের বেশি সময় থাকে তাকে ক্রনিক পেইন বলে। কারন গুলি হলঃ

ভুল ভাবে শোওয়ার কারনে।

স্পোর্টস ইঞ্জুরি।

সারভ্যাইকাল ডি-জেনারেটিভ ডিস্ক ডিসিজ।

সারভ্যাইকাল হারনিয়েটেড ডিসিজ।

সারভ্যাইকাল অসটিওআরথ্রাইটিস।

সারভ্যাইকাল স্পাইনাল স্টেনোসিস উইথ মায়ালপ্যাথি।

সারভাইকাল ফোরামিনাল স্টেনোসিস

অন্যান্য কারণ গুলিঃ

মানসিক চাপ

ইনফেক্সান

মায়ফেসিয়াল পেইন

ফাইব্রমায়েলজিয়া

স্পাইনাল টিউমার

স্পনডোলোলাইটিসিস

সেলফ কেয়ারঃ

বিশ্রাম

বরফ বা তাপ ব্যবহার

মালিশ

ভাল ভাবে বসা, দাড়ানো বা শোওয়া।

ভাল জীবনশৈলী।

ওষুধের ব্যবহার।

নন সারজিকাল কেয়ারঃ

ফিজিক্যাল থেরাপি

পেইন     মেডিকেশন।

সারভ্যাইক্যাল এপিডুরাল স্টেরয়েড ইঞ্জেকসান।

সারভ্যাইকাল ফাসেট ইঞ্জেকসান।

ট্রিগার পয়েন্ট ইঞ্জেক্সান

ম্যানুয়াল মান্যুপুলেসান।

আকুপাংচার।

শিশুদের জন্য সহজ উপায়ঃ

তাপ বা বরফ ব্যবহার।

কোনরকম ঝাকুনি ছাড়া চলাফেরা করা।

হাল্কা ব্যায়াম করা।

ঘাড়ের ব্যথার সতর্কতাঃ

শীতে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা।

বিশ্রামের সময় সারভ্যাইকাল কলার ব্যবহার।

যদি ঘাড় শক্ত লাগে তাহলে ওপোরে বা পাশে না তাকানো।

এসি ঘরে নেক সোয়েটার ব্যবহার।

বিজ্ঞান সম্মত বালিশের ব্যবহার।

শরীরের ওজোন ঠিক রাখা।

কম্পিউটার মনিটার ঠিক মত রাখা।

ব্যয়াম বা অন্য পদ্ধতিতে মানসিক চাপ কমানো।

এক ঘন্টা অন্তর ব্রেক নেওয়া কাজের মাঝে।

সোজা ভাবে চেয়ারে বসা।

মোবাইল ব্যবহারের সময় হেডফোন বা স্পীকারের ব্যবহার।

চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গরম তেল মালিশ।

প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা মাসাজ করালে ভাল ফল পাওয়া যায়।

আল্ট্রাসোনিক মাসাজ ব্যবহারে ও ভাল ফল পাওয়া যায়।

ব্যাথা কমানোর জেল ব্যবহার।

ব্যাথার জায়গায় হিট প্যাড বা হট প্যাক ব্যবহার।

চিকিতসকের পরামর্শ মত নন স্টেরয়ডাল এ্যান্টি ইনফ্লেমিটারি ওষুধের প্রয়োগ।

ব্যথা বা স্টিফনেস কমাতে ব্যয়াম খুব উপকারী।

কখন এটা মারাত্মক

ঘাড়ের ব্যথা মারাত্মক হতে পারে যদি নিচের লক্ষ্মণগুলির কোন একটি থাকেঃ

  • হাতে অবশ ভাব
  • হাতে ঝিনঝিন অনুভূতি
  • হাতের দুর্বলতা
  • হাঁটতে অসুবিধা
  • উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়া ব্যথা
  • রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া

এগুলির কোন একটি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।